আপনি যা জানতে পারবেন
বিশ্বায়নের যুগে বিভিন্ন প্রয়োজনে এক দেশ থেকে অন্য মানুষ যাতায়াত করে থাকে। ভ্রমণের সময় বিভিন্ন দেশের সাথে অনেক সময় আমরা টাইম মিলাতে পারি না। বাহিরের দেশের সাথে যোগাযোগের সেই দেশের টাইম সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। আজকে আমরা আমেরিকা ও বাংলাদেশ সময় পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
আমেরিকার টাইম জোন
- Eastern Standard Time (EST): UTC -5
- Central Standard Time (CST): UTC -6
- Mountain Standard Time (MST): UTC -7
- Pacific Standard Time (PST): UTC -8
- Alaska Standard Time (AKST): UTC -9
- Hawaii-Aleutian Standard Time (HAST): UTC -10
বাংলাদেশ ও আমেরিকার সময়ের পার্থক্য
আমেরিকার ৬ টি টাইম জোন রয়েছে অর্থাৎ অঞ্চলভেদে বাংলাদেশে একই সময়ের আমেরিকা র ভিন্ন ভিন্ন ছয়টি সময় হবে আমেরিকা র টাইম জোন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই
1.Eastern Standard Time (EST) থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১১ ঘন্টা এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১০ঘন্টা এগিয়ে।
উদাহরণস্বরূপ, যখন জর্জিয়াতে সকাল ৯টা, তখন ঢাকায় রাত ৮টা। Daylight saving time অবস্থায় হলে জর্জিয়াতে সকল ৯টা হলে ঢাকায় সন্ধ্যা ৭ টা বাজবে।
2.Central Standard Time (CST) থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১২ ঘন্টা এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১১ ঘন্টা এগিয়ে।
উদাহরণস্বরূপ, যখন আলাবামাতে সকাল ৯টা, তখন ঢাকায় রাত ৯টা। Daylight saving time অবস্থায় হলে আলাবামাতে সকাল ৯টা হলে ঢাকায় রাত ৮টা বাজবে।
3.Mountain Standard Time (MST) থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১৩ ঘন্টা এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১২ ঘন্টা এগিয়ে।
উদাহরণস্বরূপ, যখন ডেনভারে সকাল ৯টা, তখন ঢাকায় রাত ১০টা। Daylight saving time অবস্থায় হলে ডেনভারে সকাল ৯টা হলে ঢাকায় রাত ৯টা বাজবে।
4.Pacific Standard Time (PST)থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১৪ ঘন্টা এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১৩ ঘন্টা এগিয়ে।
উদাহরণস্বরূপ, যখন লস এঞ্জেলেসে সকাল ৯টা, তখন ঢাকায় রাত ১১টা। Daylight saving time অবস্থায় হলে লস এঞ্জেলেসে সকাল ৯টা হলে ঢাকায় রাত ১০টা বাজবে।
5.Alaska Standard Time (AKST)থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১৫ ঘন্টা এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১৪ ঘন্টা এগিয়ে।
উদাহরণস্বরূপ, যখন আনকোরেজে সকাল ৯টা, তখন ঢাকায় রাত ১২টা। Daylight saving time অবস্থায় হলে আনকোরেজে ৯টা হলে ঢাকায় রাত ১১টা বাজবে।
6.Hawaii-Aleutian Standard Time (HAST)থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১৬ ঘন্টা এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১৫ ঘন্টা এগিয়ে।
উদাহরণস্বরূপ, যখন হাওয়াইতে সকাল ৯টা, তখন ঢাকায় রাত ২টা। Daylight saving time অবস্থায় হলে হাওয়াইতে ৯টা হলে ঢাকায় রাত ১টা বাজবে।
ডে-লাইট সেভিংস টাইম
আমেরিকায় মাচ মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ৯ মাস ডে-লাইট সেভিংস টাইম পালন করা হয়ে থাকে। এজন্য প্রতিটি নরমাল টাইম জোন থেকে ১ ঘন্টা অতিরিক্ত সময় যোগ করে হিসাব করতে হবে। বাংলাদেশের টাইমের সাথে ১ ঘন্টা কমিয়ে হিসাব করা হয়। কিন্তু জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং ডিসেম্বর মাসে নরমাল টাইম হিসাব করা হয় ।
আরো জানুন:
ইতালি ও বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য কত জানুন
কানাডা ও বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য
বাংলাদেশ এবং আমেরিকার সময়ের কেন এত পার্থক্য
আমেরিকার অবস্থান বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম অবস্থিত টরন্টো (আমেরিকা ) থেকে ঢাকা (বাংলাদেশ) এর সরলরেখার দূরত্ব প্রায় ১৩,২১৯ কিলোমিটার । পৃথিবী যেহেতু সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে পৃথিবীর যেই অংশ সূর্যের নিকটবর্তী হবে সেই অংশে দিন ও রাত আগে হবে ঠিক এমনটাই হয় আমেরিকার ক্ষেত্রে।
উপসংহার : বাংলাদেশ ও আমেরিকার সময়ের পার্থক্য এর ক্ষেত্রে আমাদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হলো দিবারাত্রির বিষয়টা । কারণ ভ্রমণ, যোগাযোগ, ব্যবসা এমনকি ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
1 thought on “বাংলাদেশ ও আমেরিকার সময়ের পার্থক্য জেনে নিন”