মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য তালিকা ও পরিচিতি

মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য তালিকা ও পরিচিতি,জাগ্রত চৌরঙ্গী
জাতীয় স্মৃতিসৌধ
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ 
শাবাশ বাংলাদেশ
বিজয় ১৯৭১
রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধ 
স্বাধীনতা সংগ্রাম
চেতনা ১৯৭১
অদম্য বাংলা
সংশপ্তক
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ
স্বোপার্জিত স্বাধীনতা

আমাদের এই বাংলাদেশকে আমরা দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি। আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে বাংলার মাটিতে অসংখ্য ভাস্কর্য তৈরি হয়েছে। যা নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গুরুত্ব তুলে ধরবে। আজকের আমাদের আলোচনার বিষয় হলো মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য তালিকা ও পরিচিতি নিয়ে যা একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক।

অপরাজেয় বাংলা

প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম সেরা একটি ভাস্কর্য অপরাজেয় বাংলা। ভাস্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদের এ ভাস্কর্যটিতে বাসাবোর মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র সমাজসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণের দৃশ্য নান্দনিকভাবে তুলে এর হয়েছে। অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যটিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি প্রতীকী রূপ ৩৫ চলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এই তা বন্দুক কাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা তিন নারী-পুরুষের ভাস্কর্য, যেটি সর্বস্তরের মানুষের স্বাধীনতা সয়ামে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে তারই অনুপম স্মৃতিকাতর ভাস্কর্য ‘অপরাজেয় বাংলা’।

১৯৭২-৭৩ সালে ডাকসুর উদ্যোগে অপরাজেয় বাংলার কাজে হাত দেওয়া হয়। ১৯৭৩ সালে ভাস্কর্যটি তৈরি করা শুরু হয় এবং এর কাজ শেষ হয় ১৯৭৯ সালে। ৬ ফুট বেদির ওপর নির্মিত এর উচ্চতা ১২ ফুট, প্রস্থ ৮ ফুট ও ব্যাস ৬ ফুট। ১৯৭৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় এ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হয়। ভাস্কর্যটির তিনটি মূর্তির একটির ডান হাতে দৃঢ় প্রত্যয়ে রাইফেলের বেস্ট ধরা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। এর মডেল ছিলেন আর্ট কলেজের ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা বদরুল আলম বেনু। থ্রি নট খ্রি রাইফেল হাতে সাবলীল ভঙ্গিতে দাঁড়ানো অপর মূর্তির মডেল ছিলেন সৈয়দ হামিদ মকসুদ ফজলে। আর নারী মূর্তির মডেল ছিলেন হাসিনা আহমেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণভোমরা এই ভাস্কর্যটির গুরুত্ব ও অতুলনীয় মর্যাদা সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছে সবসময় রয়েছে। ভাস্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ এই ভাস্কর্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মরণে নিবেদিত এবং শুধু তিনজন মুক্তিযোদ্ধাতে চিত্রায়িত করেননি, সামগ্রিক সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বাস্তব প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন।

আরো পড়ুন;  কানাডা ও বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য

জাগ্রত চৌরঙ্গী

ঢাকার বাইরের এই ভাস্কর্যটি মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের স্মরণে নির্মিত হয়েছিল। এটি গাজীপুর জেলার চান্দনা চৌরাস্তায় অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের পর সর্বপ্রথম নির্মিত ভাস্কর্য হিসেবে আলাদা একটি কদর রয়েছে জাগ্রত চৌরঙ্গীর। মুক্তিযুদ্ধের মহান শহিদদের অসামান্য আত্মত্যাগের স্মরণে নির্মিত এই ভাস্কর্যটির ভাস্কর আবদুর রাজ্জাক। এটি ১৯৭৩ সালে নির্মাণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় নির্মিত এটিই প্রথম ভাস্কর্য বলে স্বীকৃত।

১৯৭১ সালের ১৯ মার্চের আন্দোলন ছিল মুক্তিযুদ্ধের সূচনাপর্বে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ। সেই প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয় এখানেই। শহিদ হুরমত উল্লাহ ও অন্য শহিদদের অবদান এবং আত্মত্যাগকে জাতির চেতনায় সমুন্নত রাখতে জয়দেবপুর চৌরাস্তার সড়কদ্বীপে স্থাপন করা হয় দৃষ্টিনন্দন এই ভাস্কর্য। এক হাতে রাইফেল ও অন্য হাতে গ্রেনেড ছোড়ার দৃপ্ত ভঙ্গিতে নির্মিত এই ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সশস্ত্র প্রতিরোধের স্মৃতিচিহ্ন হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ

বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি স্মারক স্থাপনা। এটি ঢাকা শহরের উপকণ্ঠে সাভারে অবস্থিত। এর স্থপতি হলেন সৈয়দ মইনুল হোসেন। স্মৃতিসৌধটির উচ্চতা ১৫০ ফুট। সৌধটি সাত জোড়া ত্রিভুজাকৃতির দেয়াল নিয়ে পঠিত। দেয়ালগুলো ছোট থেকে বড় এই ক্রমে সাজানো হয়েছে। এই সাত জোড়া দেয়াল স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি ভিন্ন পর্যায়কে নির্দেশ করে-

  • ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন
  • ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন
  • ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন
  • ১৯৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন
  • ১৯৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন
  • ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান
  • ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ

এই সাতটি ঘটনাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিক্রমা হিসেবে বিবেচনা করে সৌধটি নির্মিত হয়েছে। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে নবীনগরে এই স্মৃতিসৌধের শিলান্যাস করেন। ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং নকশা আহ্বান করা হয়। ১৯৭৮-এর জুন মাসে প্রাপ্ত ৫৭টি নকশার মধ্যে সৈয়দ মইনুল হোসেন প্রণীত স্মৃতিসৌধের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ১৯৮২ সালে বিজয় দিবসের অল্প আগে সমাপ্ত হয়। ২০০২ সালে গৃহীত প্রকল্প অনুযায়ী এখানে একটি অগ্নিশিখা, সুবিস্তৃত ম্যুরাল এবং একটি গ্রন্থাগার স্থাপনের পরিকল্পনা আছে।

মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ 

মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বকারী মুজিবনগর সরকারের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। স্মৃতিসৌধে ২৩টি পৃথক ত্রিভুজাকৃতির দেয়াল বৃত্তাকারে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে সবশেষ উচ্চতায় স্থির হয়েছে। ২৩টি ত্রিভুজাকৃতির দেয়াল হলো ২৩ বছরের পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শোষণের প্রতীক। এছাড়াও এখানে রয়েছে স্মৃতিসৌধের বেদিতে আরোহণের জন্য একটি র‍্যাম্প এবং স্মৃতিসৌধ থেকে বের হওয়ার পথে ৯ মাস যুদ্ধের স্মৃতিতে ৯টি ধাপ। ১৯৪৭ সাল থেকে এদেশের জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে ক্রমে সংগঠিত হয়েছে। একপর্যায়ে দৃঢ় মনোবল আর সংকল্প নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। কারণ এখানেই শপথ নিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার। এই স্মৃতিসৌধের স্থপতি ছিলেন তানভীর করিম।

আরো পড়ুন;  ওমানের এক রিয়াল বাংলাদেশের কত টাকা ২০২৪

শাবাশ বাংলাদেশ

শাবাশ বাংলাদেশ ভাস্কর্যটি দাঁড়িয়ে আছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।১৯৯১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের উদ্যোগে শিল্পী নিতুন কুন্ডুর উপস্থাপনায় নির্মাণকাজ শুরু হয়। নির্মাণকাজ শেষে ফলক উন্মোচন করেন শহিদ জননী জাহানারা ইমাম। প্রায় ৪০ বর্গফুট জায়গার ওপর ভাস্কর্য দাঁড়িয়ে আছে। ভাস্কর্যটিতে দুজন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি রয়েছে।

বিজয় ১৯৭১

বিজয় ১৯৭১ ভাস্কর্যটি অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিখ্যাত ভাস্কর্যশিল্পী শ্যামল চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে ক্যাম্পাসে নির্মিত বিজয় ১৯৭১ ভাস্কর্যটির নির্মাণকাজ ২০০০ সালের জুন মাসে শেষ হয়।

রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধ 

মহান মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সর্বশেষ মাসটি ছিল ডিসেম্বর। সেই সময়েই ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা ঘৃণ্যতম হত্যাযজ্ঞ চালায়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যদের হাতে অপহৃত হন অনেক বুদ্ধিজীবী। পরে তাদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির উদ্দেশে নির্মিত হয়েছে রায়েরবাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধটি।

স্বাধীনতা সংগ্রাম

স্বাধীনতা সংগ্রাম মূলত অনেকগুলো ভাস্কর্যের সমষ্টি, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত। স্বাধীনতা সংগ্রাম নামের এই বৈশিষ্ট্যময় ভাস্কর্যে এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায় তুলে ধরা হয়েছে। আন্দোলনে শহিদ হয়েছেন এমন ১৮ জনের ভাস্কর্য দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। এ ভাস্কর্যের সবার নিচে রয়েছে ভাষাশহিদের ভাস্কর্য এবং সবার উপরে আছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। তারও উপরে রয়েছে লাল-সবুজের বাংলাদেশের পতাকা। ইট, পাথর, রড ও সিমেন্ট ব্যবহার করে এ বিরাটাকৃতির ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। উচ্চতা ৬০ ফুট।

চেতনা ১৯৭১

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতার ভাস্কর্য চেতনা ১৯৭১। এই ভাস্কর্যটির নকশা করেছেন স্থপতি নৃপল খান। আর নির্মাণকাজে নিয়োজিত ছিলেন তারই সংগঠন ‘নৃ’এর স্কুল অব স্কালপচার।

অদম্য বাংলা

এটিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীকী রূপ মানা হয়। ভাস্কর্যটি উচ্চতায় প্রায় ২৩ফুট। স্থপতি শিল্পী গোপাল চন্দ্র পাল। বেদির চারদিকের পোড়ামাটির প্রাচীরচিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতি, বধ্যভূমির বর্বরতা ও পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের চিত্র।

আরো পড়ুন;  বিখ্যাত সাহিত্যিকদের প্রকৃত নাম ও ছদ্মনাম

সংশপ্তক

যুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয় জেনেও লড়ে যান যে অকুতোভয় বীর, সে-ই সংশপ্তক। সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত এই ভাস্কর্যটিও স্বাধীনতার মহান স্মৃতি আর গৌরবের মহিমায় মহিমান্বিত। ১৯৯০ সালের ২৬ মার্চ নির্মিত হয়েছিল স্মারক ভাস্কর্য সংশপ্তক। ভাস্কর ছিলেন হামিদুজ্জামান খান। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক পায়ে ভর করে দাঁড়িয়ে আছে ভাস্কর্যটি।

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ

বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সময় অগণিত বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে মানবতাবিরোধী এই বর্বর কাজে সহায়তা করেছে রাজাকার ও আলবদর বাহিনী। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী চূড়ান্ত পরাজয়ের দুই দিন পূর্বে ১৪ই ডিসেম্বর অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। তাঁদের স্মৃতি অমর করে রাখার জন্য ঢাকার মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। এর স্থপতি ছিলেন মোস্তফা আলী কুদ্দুস। ১৯৭২ সালে এই স্মৃতিসৌধের নির্মাণকাজ শেষ হয়।

আরো জানুন;

বিখ্যাত সাহিত্যিকদের প্রকৃত নাম ও ছদ্মনাম

স্বোপার্জিত স্বাধীনতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সড়কদ্বীপে রয়েছে স্বোপার্জিত স্বাধীনতা। এ ভাস্কর্যের নির্মাতা চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শামীম শিকদার।

শিখা চিরন্তন

মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহিদদের অমর স্মৃতি চির জাগরূক রাখার জন্য ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ শিখা চিরন্তন স্থাপিত হয়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে এই স্থান থেকেই ‘মুক্তির সংগ্রাম ও স্বাধীনতা সংগ্রামের’ ডাক দিয়েছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য তালিকা ও পরিচিতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য 

জাগ্রত চৌরঙ্গী স্থপতি: শামীম শিকদার

জাতীয় স্মৃতিসৌধ স্থপতি: সৈয়দ মাইনুল হোসেন

মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ স্থপতি: তানভীর কবির

শাবাশ বাংলাদেশ স্থপতি: নভেরা আহমেদ এবং হামিদুজ্জামান খান

বিজয় ১৯৭১স্থপতি: নবকুমার বসু

রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধ স্থপতি: ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এবং এস এম কামালউদ্দিন

অদম্য বাংলা স্থপতি: সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ

সংশপ্তক স্থপতি: মৃণাল হক

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধস্থপতি: মীর মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান

স্বোপার্জিত স্বাধীনতা স্থপতি: হাসেম খান

শিখা চিরন্তন স্থপতি: আবদুর রউফ

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা আমি মোঃ ফরিদুল ইসলাম পেশায় একজন শিক্ষার্থী এবং এই ওয়েবসাইটির এডমিন। পড়াশোনার পাশাপাশি লিখালিখি করতে পছন্দ করি। বিগত কয়েকবছর ধরে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লিখালিখি করে আসতেছি। বিশেষ দ্রষ্টব্য -লেখনীর মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ

1 thought on “মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য তালিকা ও পরিচিতি”

Leave a Comment