সাধারণত বাথরুমেই সবচেয়ে বেশি স্ট্রোক হয়ে থাকে কারন,বাথরুমে গোসল করার সময় আমরা সর্বপ্রথম মাথা এবং চুল ভেজাই যা একদম উচিৎ নয়। বরং এটি একদম ভুল পদ্ধতি ।বাথরুমে বেশি স্ট্রোক হয় কেন? চলুন জেনে নিই।
প্রথমেই মাথায় পানি ঢালায় রক্ত দ্রুত মাথায় উঠে যায় যার ফলে কৈশিক ও ধমনী একসাথে ছিঁড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য মানুষের স্ট্রোক হয় এবং মাটিতে পড়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ ধমনি ও শিরার মধ্যে পার্থক্য
বিশ্বের একাধিক গবেষণা রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে ,গোসলের সময় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা উদ্বেগজনক ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি।
গোসলের সময় স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়
১.গোসলের পূর্বে কিছুক্ষণ বাথরুমে অবস্থান করা যাতে দেহের তাপমাত্রা কক্ষ তাপমাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় ।
২. গোসলের পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখা যেমন গরমকালে তীব্র ঠাণ্ডা না রাখা আবার শীতকালে একদম বেশি পানি গরম না রাখা ।
৩. খালি পেটে বা ভরা পেটে গোসল থেকে বিরত থাকতে হবে । কারণ এই সময় শরীরের রক্তচাপ কম- বেশি হতে থাকে।
৪. প্রথমে মাথায় পানি না ঢালা। প্রথমে পায়ে হাতে পানি দিবেন । তারপর কাঁধ পর্যন্ত ভিজিয়ে নিবেন তারপর মাথায় পানি দিবেন। এতে করে রক্তচাপের ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণে থাকবে ।
৫. বাথরুমে বেশি চাপ প্রয়োগ করে কোন কাজ না করা যেমন কাপড় কাঁচা, বালতির পানি ফেলে দেয়া , পানির ট্যাবে বেশি জোরে চাপ প্রয়োগ ইত্যাদি ইত্যাদি।
উপসংহার,
বাথরুমে বেশি স্ট্রোক হয় কেন? পোস্টটিতে কারণ এবং প্রতিকারের বেশ কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাছাড়া বাথরুম পরিস্কার রাখা , বাথরুমে ধরার জন্য হাতল রাখা যাতে করে আক্রান্ত ব্যক্তি যেন মাটিতে পড়ে না যায় । ধন্যবাদ মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য।