প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ (Primary Standard Substances)

যেসব পদার্থ প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং ঐ পদার্থ বা তার দ্রবণকে দীর্ঘদিন রেখে দিলেও দ্রবণের ঘনমাত্রার কোনো পরিবর্তন ঘটে না, সেসব পদার্থকে প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ (Primary Standard Substances) বলা হয়।

কিছু প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের উদাহরণ –

  • অনার্দ্র সোডিয়াম কার্বনেট (Na₂CO₃)
  • পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট (K₂Cr₂O₂)
  • কেলাসিত ইথেন ডাইঅয়িক এসিড বা অক্সালিক এসিড (H₂C₂O4.2H₂O)
  • কেলাসিত সোডিয়াম ইথেনডাইঅয়েট বা সোডিয়াম অক্সালেট (Na₂C₂O.2H₂O)
  • পটাসিয়াম ব্রোমেট (KBrO)
  • পটাসিয়াম আয়োডেট (KIO)
  • আর্সেনিক ট্রাইঅক্সাইড (As₂O)
  •  পটাসিয়াম হাইড্রোজেন থ্যালেট(KHP)

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ যেসব পদার্থ প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং ঐ পদার্থ বা তার দ্রবণকে দীর্ঘদিন রেখে দিলেও দ্রবণের ঘনমাত্রার কোনো পরিবর্তন ঘটে না, সেসব পদার্থকে প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ (Primary Standard Substances) বলা হয়। কিছু প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের উদাহরণ - অনার্দ্র সোডিয়াম কার্বনেট (Na₂CO₃) পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট (K₂Cr₂O₂) কেলাসিত ইথেন ডাইঅয়িক এসিড বা অক্সালিক এসিড (H₂C₂O4.2H₂O) কেলাসিত সোডিয়াম ইথেনডাইঅয়েট বা সোডিয়াম অক্সালেট (Na₂C₂O.2H₂O) পটাসিয়াম ব্রোমেট (KBrO) পটাসিয়াম আয়োডেট (KIO) আর্সেনিক ট্রাইঅক্সাইড (As₂O) প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের বৈশিষ্ট্যসমূহ ১. প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন বিশুদ্ধ থাকে। ২. বায়ুর সংস্পর্শে অপরিবর্তিত থাকে অর্থাৎ বায়ুর উপাদান CO₂, O₂ ও জলীয় বাষ্প দ্বারা উপাদান কোনোরূপ আক্রান্ত হয় না। ৩.ল্যাবরেটরিতে ডিজিটাল ব্যালেন্স বা পল-বুঙ্গি ব্যালেন্সের সাহায্যে ওজন করে এর প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা যায়। ৪. প্রকৃত প্রমাণ দ্রবণকে সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন যাবৎ এর ঘনমাত্রা অপরিবর্তিত থাকে। ৫.প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ দ্বারা প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা যায়। সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ (Secondary Standard Substances) যেসব পদার্থ বায়ুর উপাদানসমূহ দ্বারা সহজে আক্রান্ত হয়, ফলে এসব পদার্থের দ্রবণের ঘনমাত্রা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়ে যায় তাদেরকে সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ (Secondary Standard Substances) বলে।  কিছু সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের উদাহরণ - পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট (KMnO₂) সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄) কস্টিক সোডা (NaOH) সোডিয়াম থায়োসালফেট (Na₂S₂O.5H₂O) হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) {ব্যতিক্রম}. সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের বৈশিষ্ট্যসমূহ ১.এদেরকে বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় না এজন্য বিশুদ্ধভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। ২. বায়ুর সংস্পর্শে এসে পরিবর্তন ঘটে অর্থাৎ বায়ুর উপাদান CO₂, O₂ ও জলীয় বাষ্প দ্বারা উপাদান আক্রান্ত হয়। ৩.প্রকৃত দ্রবণকে সংরক্ষণ করলে দ্রবণের ঘনমাত্রা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়ে যায়। ৪ . ব্যালেন্সের ক্ষতি করে ও বায়ুর সংস্পর্শে এসে ভরের পরিবর্তন ঘটায় বলে সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা যায় না।  ৫.কোনা সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ দ্বারা প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা যায় না। 

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের বৈশিষ্ট্যসমূহ

১. প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন বিশুদ্ধ থাকে।

২. বায়ুর সংস্পর্শে অপরিবর্তিত থাকে অর্থাৎ বায়ুর উপাদান CO₂, O₂ ও জলীয় বাষ্প দ্বারা উপাদান কোনোরূপ আক্রান্ত হয় না।

৩.ল্যাবরেটরিতে ডিজিটাল ব্যালেন্স বা পল-বুঙ্গি ব্যালেন্সের সাহায্যে ওজন করে এর প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা যায়।

৪. প্রকৃত প্রমাণ দ্রবণকে সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন যাবৎ এর ঘনমাত্রা অপরিবর্তিত থাকে।

৫.প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ দ্বারা প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা যায়।

সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ (Secondary Standard Substances)

যেসব পদার্থ বায়ুর উপাদানসমূহ দ্বারা সহজে আক্রান্ত হয়, ফলে এসব পদার্থের দ্রবণের ঘনমাত্রা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়ে যায় তাদেরকে সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ (Secondary Standard Substances) বলে।

কিছু সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের উদাহরণ –

  • পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট (KMnO₂)
  • সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄)
  • কস্টিক সোডা (NaOH)
  • সোডিয়াম থায়োসালফেট (Na₂S₂O.5H₂O)
  • হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) {ব্যতিক্রম}.
আরো পড়ুন;  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২৪-২০২৫

 

সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের বৈশিষ্ট্যসমূহ

১.এদেরকে বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় না এজন্য বিশুদ্ধভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না।

২. বায়ুর সংস্পর্শে এসে পরিবর্তন ঘটে অর্থাৎ বায়ুর উপাদান CO₂, O₂ ও জলীয় বাষ্প দ্বারা উপাদান আক্রান্ত হয়।

৩.প্রকৃত দ্রবণকে সংরক্ষণ করলে দ্রবণের ঘনমাত্রা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়ে যায়।

৪ . ব্যালেন্সের ক্ষতি করে ও বায়ুর সংস্পর্শে এসে ভরের পরিবর্তন ঘটায় বলে সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা যায় না।

৫.কোনা সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ দ্বারা প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা যায় না।

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ চেনার উপায়

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ চেনার জন্য আমাদের জেনে নিতে হবে প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ অবস্থায় কোন কোন পদার্থ পাওয়া তাহলে আমাদের প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ চিনতে অসুবিধা হবে না। আরো একটি সহজ পদ্ধতি আছে সেটা হলো C বা কার্বন থাকবে সেগুলো প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ। আর বাকিগুলো সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ HCL ব্যতিক্রম।

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা আমি মোঃ ফরিদুল ইসলাম পেশায় একজন শিক্ষার্থী এবং এই ওয়েবসাইটির এডমিন। পড়াশোনার পাশাপাশি লিখালিখি করতে পছন্দ করি। বিগত কয়েকবছর ধরে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লিখালিখি করে আসতেছি। বিশেষ দ্রষ্টব্য -লেখনীর মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ

1 thought on “প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ”

Leave a Comment