আপনি যা জানতে পারবেন
বিশ্বায়নের যুগে বিভিন্ন প্রয়োজনে এক দেশ থেকে অন্য মানুষ যাতায়াত করে থাকে। ভ্রমণের সময় বিভিন্ন দেশের সাথে অনেক সময় আমরা টাইম মিলাতে পারি না। বাহিরের দেশের সাথে যোগাযোগের সেই দেশের টাইম সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। আজকে আমরা কানাডা ও বাংলাদেশ সময় ব্যবধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
কানাডার টাইম জোন
- Newfoundland Time Zone (NT) – UTC-3:30
- Atlantic Time Zone (AT) – UTC-4
- Eastern Time Zone (ET) – UTC-5
- Central Time Zone (CT) – UTC-6
- Mountain Time Zone (MT) – UTC-7
- Pacific Time Zone (PT) – UTC-8
কানাডা ও বাংলাদেশের সময় ব্যবধান
কানাডার ৬ টি টাইম জোন রয়েছে অর্থাৎ অঞ্চলভেদে বাংলাদেশে একই সময়ের কানাডার ভিন্ন ভিন্ন ছয়টি সময় হবে কানাডার টাইম জোন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই
1.Newfoundland Time Zone (NT) থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ৯ ঘন্টা ৩০ মিনিট এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১০ ঘন্টা ৩০ মিনিট এগিয়ে।
2.Atlantic Time Zone (AT) থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১০ ঘন্টা এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১১ ঘন্টা এগিয়ে।
3.Eastern Time Zone (ET) থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১১ ঘন্টা এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১২ ঘন্টা এগিয়ে।
4.Central Time Zone (CT)থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১২ ঘন্টা এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১৩ ঘন্টা এগিয়ে।
5.Mountain Time Zone (MT)থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১৩ ঘন্টা এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১৪ ঘন্টা এগিয়ে।
6.Pacific Time Zone (PT)থেকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম (BST) হবে ১৪ ঘন্টা এগিয়ে আর যদি Daylight saving time অবস্থায় হয় তাহলে ১৫ ঘন্টা এগিয়ে।
ডে-লাইট সেভিংস টাইম
কানাডায় মাচ মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ৯ মাস ডে-লাইট সেভিংস টাইম পালন করা হয়ে থাকে। এজন্য প্রতিটি নরমাল টাইম জোন থেকে ১ ঘন্টা অতিরিক্ত সময় যোগ করে হিসাব করতে হবে।
আরো পড়ুন:বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স টিকেট চেক করার উপায় ২০২৪
বাংলাদেশ এবং কানাডার সময়ের কেন এত পার্থক্য
কানাডার অবস্থান বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম অবস্থিত টরন্টো (কানাডা) থেকে ঢাকা (বাংলাদেশ) এর সরলরেখার দূরত্ব প্রায় ১১,৬০০ কিলোমিটার (৭,২০০ মাইল) । পৃথিবী যেহেতু সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে পৃথিবীর যেই অংশ সূর্যের নিকটবর্তী হবে সেই অংশে দিন ও রাত আগে হবে ঠিক এমনটাই হয় কানাডার ক্ষেত্রে।
উপসংহার : কানাডা ও বাংলাদেশের সময় ব্যবধান এর ক্ষেত্রে আমাদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হলো দিবারাত্রির বিষয়টা । কারণ ভ্রমণ, যোগাযোগ, ব্যবসা এমনকি ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
4 thoughts on “কানাডা ও বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য”