লন্ডনের সাথে বাংলাদেশের সময় পার্থক্য

বিশ্বায়নের যুগে বিভিন্ন প্রয়োজনে এক দেশ থেকে অন্য মানুষ যাতায়াত করে থাকে। ভ্রমণের সময় বিভিন্ন দেশের সাথে অনেক সময় আমরা টাইম মিলাতে পারি না। বাহিরের দেশের সাথে যোগাযোগের সেই দেশের টাইম সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। আমরা ইংল্যান্ডের সময় সম্পর্কে জানবো । ইংল্যান্ডের রাজধানীর হলো লন্ডন। লন্ডনের সাথে বাংলাদেশের সময় পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। লন্ডনের সাথে বাংলাদেশের সময় পার্থক্য

 ইংল্যান্ডের টাইমজোন

  1. Greenwich Mean Time(GMT):UTC+0
  2. British Summer Time (BST):UTC+1

লন্ডনের সাথে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য

বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ডের সময় ও পার্থক্য সাধারণত ছয় ঘন্টা। অর্থাৎ বাংলাদেশের সময়ের সাথে ইংল্যান্ডের সময় ৬ ঘন্টা এগিয়ে।

যদি টাইমজোন Greenwich Mean Time(GMT):UTC+0 হয় তাহলে অক্টোবর মাসের শেষ রবিবার থেকে মার্চ মাসের শেষ রবিবার পর্যন্ত বাংলাদেশের সাথে ইংল্যান্ডের সময় পার্থক্য ৬ ঘন্টা এগিয়ে।

উদাহরণস্বরূপ: বাংলাদেশের যদি দুপুর ১ টা বাজে তাহলে লন্ডনে সন্ধ্যা ৭ টা বাজবে।

আর যদি British Summer Time (BST):UTC+1 হয় তাহলে বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ডের সময় পার্থক্য হবে ৫ ঘন্টা এগিয়ে।

উদাহরণস্বরূপ: বাংলাদেশের যদি দুপুর ১ টা বাজে তাহলে লন্ডনে সন্ধ্যা ৬ টা বাজবে।

ডে-লাইট সেভিংস টাইম

ইংল্যান্ডের প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ রবিবারের পর থেকে পরবর্তী বছর এর মাস শেষ রবিবারের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত ডে -লাইট সেভিংস টাইম সময় চালু থাকে। এই সময়ে ঘড়ির কাঁটায় এক ঘন্টা এগিয়েই ইংল্যান্ডে হিসাব। উল্লেখ্য যে বাংলাদেশে ডে-লাইট সেভিংস টাইম নেই ।

আরো জানুন;

মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য কত জানুন

কানাডা ও বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য

লন্ডনের সাথে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য এত বেশি কেন?

বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ডের অবস্থান পশ্চিম দিকে । বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮° থেকে ৯২° পূর্ব দ্রাঘিমাংশের আর ১° থেকে ৩° পশ্চিম দ্রাঘিমাংশের মধ্যে। ঢাকা হতে লন্ডনের দূরত্ব প্রায় ৮,০০০ কিলোমিটার । পৃথিবী যেহেতু সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে পৃথিবীর যেই অংশ সূর্যের নিকটবর্তী হবে সেই অংশে দিন ও রাত  আগে হবে ঠিক এমনটাই হয় ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে।

আরো পড়ুন;  সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য কত জানুন

উপসংহার : লন্ডনের সাথে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্যের ক্ষেত্রে আমাদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হলো দিবারাত্রির বিষয়টা । কারণ ভ্রমণ, যোগাযোগ, ব্যবসা এমনকি ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা আমি মোঃ ফরিদুল ইসলাম পেশায় একজন শিক্ষার্থী এবং এই ওয়েবসাইটির এডমিন। পড়াশোনার পাশাপাশি লিখালিখি করতে পছন্দ করি। বিগত কয়েকবছর ধরে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লিখালিখি করে আসতেছি। বিশেষ দ্রষ্টব্য -লেখনীর মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ

1 thought on “লন্ডনের সাথে বাংলাদেশের সময় পার্থক্য”

Leave a Comment