স্পেন একটি ইউরোপের একটি দেশ। এই দেশটি মুলত সংস্কৃতি এবং ফুটবলের জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের ফুটবল শাসন করা অন্যতম দুটি বড় ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা স্পেনে অবস্থিত। একজন ফুটবল ফ্যান হিসাবে স্পেনের সময় জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বায়নের যুগে বিভিন্ন প্রয়োজনে এক দেশ থেকে অন্য মানুষ যাতায়াত করে থাকে। ভ্রমণের সময় বিভিন্ন দেশের সাথে অনেক সময় আমরা টাইম মিলাতে পারি না। বাহিরের দেশের সাথে যোগাযোগের সেই দেশের টাইম সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। আজকে আমরা স্পেন ও বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
আপনি যা জানতে পারবেন
স্প্যানিশ টাইম জোন
- Central European Time(CET)=(UTC+1)
- Central European summer Time=(CEST)=(UTC+2)
বাংলাদেশ ও স্পেনের সময়ের পার্থক্য
স্পেনে দুটি টাইম জোন রয়েছে। শীতকাল এবং গ্রীষ্মকালে এক ঘন্টা সময় ব্যবধান কমবেশি হয়ে থাকে। এজন্য আমাদের দুটি টাইম জোন সম্পর্কে জানতে হবে –
1.Central European Time (CET): UTC+1 (standard time) থেকে বাংলাদেশি লোকাল টাইম (BST) ৫ ঘন্টা এগিয়ে অর্থাৎ স্পেনে দুপুর ১২ টা হলে বাংলাদেশের বিকাল ৫ টা।
2.Central European Summer Time (CEST): UTC+2 থেকে বাংলাদেশি লোকাল টাইম (BST) ৪ ঘন্টা এগিয়ে। অর্থাৎ স্পেনে দুপুর 12 টা বাজলে বাংলাদেশে বিকাল ৪ টা বাজবে।
ডে-লাইট সেভিংস টাইম
স্পেনে ডে-লাইট সেভিংস টাইম চালু হয় মুলত মাচ মাসের শেষের রবিবার থেকে অক্টোবর মাসের শেষ রবিবার পর্যন্ত আর বাকি মাস গুলো Central European Time (CET): UTC+1 (standard time) অনুযায়ী হয়ে থাকে।
আরো জানুন:
বাংলাদেশ ও আমেরিকার সময়ের পার্থক্য জেনে নিন
ইতালি ও বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য কত জানুন
কানাডা ও বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য
বাংলাদেশ এবং স্পেনের সময়ের কেন এত পার্থক্য
স্পেনের অবস্থান বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম অবস্থিত মাদ্রিদ (স্পেন ) থেকে ঢাকা (বাংলাদেশ) এর সরলরেখার দূরত্ব প্রায় ৮,৫০০ কিলোমিটার । পৃথিবী যেহেতু সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে পৃথিবীর যেই অংশ সূর্যের নিকটবর্তী হবে সেই অংশে দিন ও রাত আগে হবে ঠিক এমনটাই হয় স্পেনের ক্ষেত্রে।
উপসংহার : বাংলাদেশ ও স্পেনের সময়ের পার্থক্য এর ক্ষেত্রে আমাদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হলো দিবারাত্রির বিষয়টা । কারণ ফুটবল খেলা, ভ্রমণ, যোগাযোগ, ব্যবসা এমনকি ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।